১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

Home

১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

Responsive image

১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

রয়টার পরিবেশিত খবরে বলা হয় : জাতিসংঘের পাকিস্তানের দূত আগাশাহী জাতিসংঘের বিশেষ কমিটির বৈঠকে বিশ্বশান্তি পরিষদের ভারতীয় প্রতিনিধি কৃষ্ণ মেননের দাবিকে ধৃষ্টতা হিসেবে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘মেনন শুধুমাত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনকে মুক্তি সংগ্রাম বলে চালানোর অপচেষ্টাই করছে না, জাতিসংঘ সনদের মূলনীতির বিরোধী কাজ করছে।’

১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

  • ১নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর ১০ জন যোদ্ধার একটি দল পরশুরামের আমজাদহাট এলাকায় পাকসেনাদের অ্যামবুশ করে। পাকসেনারা পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে দু’ঘণ্টারও বেশি সময় যুদ্ধ হয়। মুক্তিযোদ্ধা নায়েক নাদিরুজ্জামান দুঃসাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করে তাঁর সতীর্থদের অ্যামবুশ অবস্থান ত্যাগ করতে সাহায্য করেন। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৮ জন সৈন্য হতাহত হয়। অপরপক্ষের মুক্তিবাহিনীর একজন বীর যোদ্ধা আহত হন।

 

  • মুক্তিবাহিনীর লক্ষ্মীপুরের পাকসেনাদের দুটি বাঙ্কার অতর্কিত আক্রমণ করে ধ্বংস করে দেয়। মুক্তিবাহিনী এই অভিযানে ৩ জন পাকসেনা নিহত ও ৮ জন আহত হয়।

 

  • মুক্তিবাহিনী লক্ষ্মীপুর থানায় পাক পুলিশ ও রাজাকারদের চন্দ্রগঞ্জ প্রতাপ হাই স্কুল ঘাঁটি আক্রমণ করে। এই আক্রমণে ৪০ জন পাকসেনা হতাহত হয় এবং মুক্তিযোদ্ধাদের চাপের মুখে পাকবাহিনী তাদের অবস্থান পরিত্যাগ করতে বাধ্য হয়।

 

  • ২নং সেক্টরের সাতানি, নারায়ণহাট, আবেদারহাট ও কাকডাঙ্গায় মুক্তিবাহিনীর তিন কোম্পানি যোদ্ধা পাকসেনাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ১০ জন পাকসৈন্য নিহত ও কয়েকজন আহত হয়। অপরদিকে পাকসেনাদের শেলের আঘাতে দুইজন বেসামরিক লোক আহত হয়।

 

  • ৮নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী কুরাগাছি ইউনিয়ন কাউন্সিল অফিসে অবস্থানরত পাকবাহিনীর ওপর অতর্কিত আক্রমণ করে। এই আক্রমণে ৬ জন রাজাকার নিহত ও ২ জন আহত হয়।

 

  • মুক্তিবাহিনী শালদা নদীর পাকসেনা ঘাঁটির ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ২০/২৫ জন পাকসেনা হতাহত হয় এবং পাকঘাঁটির ব্যাপক ক্ষতি হয়।

 

  • তেহরানে পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ও ইরানের শাহ রেজা পাহলভির মধ্যে পাক-ভারত পরিস্থিতি নিয়ে দু’দিনব্যাপী আলোচনা শেষে যুক্ত ইস্তেহার প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, ইরানের শাহ পাকিস্তানের সঙ্গে তার একাত্মতা প্রকাশ করছে।

 

  • রয়টার পরিবেশিত খবরে বলা হয় : জাতিসংঘের পাকিস্তানের দূত আগাশাহী জাতিসংঘের বিশেষ কমিটির বৈঠকে বিশ্বশান্তি পরিষদের ভারতীয় প্রতিনিধি কৃষ্ণ মেননের দাবিকে ধৃষ্টতা হিসেবে মন্তব্য করেছেন।

    তিনি বলেন, ‘মেনন শুধুমাত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনকে মুক্তি সংগ্রাম বলে চালানোর অপচেষ্টাই করছে না, জাতিসংঘ সনদের মূলনীতির বিরোধী কাজ করছে।’

 

  • নূরুল আমীনের বাসায় পিডিপি’র কার্যকরী কমিটির ১৮ জন সদস্যের উপস্থিতিতে নূরুল আমীনের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় মাহমুদ আলীকে পিডিপি পূর্ব পাকিস্তান শাখার সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়।

© 2024 Liberation War Museum, All rights reserved

Powered by -

×